করোনাভাইরাসে সংক্রমণের ক্রমবর্ধমাণ ধারা থেমেছে চট্টগ্রামে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ২ জন আক্রান্ত শনাক্ত হন। সংক্রমণ হারও অনেক কমেছে, ২ দশমিক ২২ শতাংশ।
চট্টগ্রামের করোনা সংক্রান্ত হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে আজ প্রেরিত প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ও নগরীর আটটি ল্যাবরেটরিতে গতকাল চট্টগ্রামের ৯০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নতুন ২ জন পজিটিভ শনাক্ত হন। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা একজন ও সাতকানিয়া উপজেলার একজন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ১ লক্ষ ২৮ হাজার ৮৬২ জন। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৯৩ হাজার ৯৪৮ জন ও গ্রামের ৩৪ হাজার ৯১৪ জন। করোনায় মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৬৭ জন রয়েছে। এতে শহরের বাসিন্দা ৭৩৭ জন ও গ্রামের ৬৩০ জন।
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন ধরে ক্রমেই বাড়ছিল করোনার সংক্রমণ। ২০ সেপ্টেম্বর ১৩৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৩ জন আক্রান্ত শনাক্ত হয়। সংক্রমণ হার ছিল ৯ দশমিক ৭৭ শতাংশ। ২১ সেপ্টেম্বর ১১২ জনের মধ্যে ৭ জন পজিটিভ মিলে। সংক্রমণ হার ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ। ২২ সেপ্টেম্বর ১২৫ নমুনা পরীক্ষায় ১২ টি সংক্রমিত চিহ্নিত হয়। হার ৯ দশমিক ৬০ মতাংশ। ২৩ সেপ্টেম্বর ১৬৪ নমুনা পরীক্ষায় ১৭ টিতে জীবাণু পাওয়া যায়। হার ১০ দশমিক ৩৬ শতাংশ।
গতকালের ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (চমেকহা) ১৯ জনের নমুনার মধ্যে গ্রামের একজনের দেহে জীবাণুর অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। এপিক হেলথ কেয়ারে ৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের একজনের দেহে সংক্রমণ চিহ্নিত হয়।
এছাড়া, বিআইটিআইডি’তে ১৪, বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে ১৭, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ২, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ১৫, মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ৫, এশিয়ান সেপশালাইজড হাসপাতালে ৭ ও এভারকেয়ার হসপিটালে ৫ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। সাত ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষিত ৬৫ নমুনার সবগুলোরই নেগেটিভ রেজাল্ট আসে।
এদিন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি), চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু), আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল, ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ও ল্যাব এইডে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি। নমুনা সংগ্রহের কোনো কেন্দ্রে কারো এন্টিজেন টেস্ট হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়, চমেকহা’য় ৫ দশমিক ২৬ ও এপিক হেলথ কেয়ারে ১৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ এবং বিআইটিআইডি, শেভরন, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল, মেট্রোপলিটন হাসপাতাল, এশিয়ান সেপশালাইজড হাসপাতাল ও এভারকেয়ার হসপিটাল ল্যাবে ০ শতাংশ।
সূত্র : বাসস
Leave a Reply